পরাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় একটি বাসায় চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চুরি হওয়া ৭৪ লাখ টাকা উদ্ধারসহ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. উজ্জল (৩১)। সে ওই বাসার কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতো। গত বুধবার দিবাগত রাতে গাজীপুর সদর থানার মৌবাগ এলাকা থেকেওল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, পশ্চিম রামপুরার মহানগর প্রজেক্টে কক্সবাজারের হোটেল সী প্যালেসে মালিক এ.এস.এম আলাউদ্দিন ভূইয়ার বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। গত ১০ মে আলাউদ্দিন ভূইয়া হাতিরঝিল থানায় অভিযোগ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বাসার কেয়ারটেকার মো. উজ্জ্বল তার বাসা থেকে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা, ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার (আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ টাকা) এবং ৭ হাজার মার্কিন ডলার চুরি করে পালিয়ে গেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে উজ্জল, তার স্ত্রী নাসরিন ও মা লুৎফার বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পায়, ২ মে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে উজ্জল বাসার সিসি ক্যামেরাগুলো ওপরের দিকে ঘুরিয়ে দেয় এবং আলাউদ্দিন ভূইয়ার কক্ষে প্রবেশ করে। পরদিন ৩ মে দুপুর সাড়ে ১২টায় উজ্জল একটি ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, উজ্জল ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন ভূইয়ার কক্সবাজারের হোটেলে ছয় বছর আগে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতো। ২০১৯ সাল থেকে সে ঢাকায় আলাউদ্দিনের বাসায় কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত ছিল। আলাউদ্দিন ভূইয়ার স্ত্রীর মৃত্যুর পর উজ্জল তার বাসার যাবতীয় কাজ করতো এবং আলমারির লকারের পাসওয়ার্ডও জানতো। ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আরও জানান, উজ্জলকে গ্রেপ্তারের পর তার তার বাসার আলমারি থেকে ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জ্বল স্বীকার করে যে, চুরি করা টাকা দিয়ে সে একটি আলমারি ও ফ্রিজ কিনেছে, যা পরে পুলিশ জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জল জানায়, চুরি করা আরও ১৪ লাখ টাকা গাজীপুর সদর থানারন শিমুলতলী বাজারে তার ভগ্নিপতির বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছে। পরে বিকালে পুলিশ তার ভগ্নিপতির বাড়ির শয়নকক্ষের খাটের নিচ থেকে ওই ১৪ লাখ টাকা উদ্ধার করে। মামলার অপর দুই আসামি ও চুরি হওয়া অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।