২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘বিশেষ সুবিধা’ বাবদ প্রদেয় অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার (২২ জুন) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন থেকে চাকরিরত সরকারি কর্মচারীরা ন্যূনতম ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং পেনশনভোগীরা ন্যূনতম ৭৫০ টাকা বিশেষ সুবিধা পাবেন।
এর আগে ৩ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে বিশেষ সুবিধা হিসেবে চাকরিজীবীদের জন্য ন্যূনতম ১ হাজার টাকা এবং পেনশনভোগীদের জন্য ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে জনমত ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে সেই সিদ্ধান্ত সংশোধন করা হয়।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ রোববার (২২ জুন) এক ব্রিফিংয়ে জানান, বাজেটের তিনটি অংশে পরিবর্তন এনে বাকি সবকিছু অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এই সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
সরকারি (বেসামরিক), স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর কর্মরত ও পেনশনভোগী সদস্যরা এই সুবিধার আওতায় আসবেন।
বিশেষ সুবিধার হার হবে গ্রেডভিত্তিক:
• গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৯: বেতনের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ
• গ্রেড-১০ থেকে গ্রেড-২০: বেতনের অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ
পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রেও একইভাবে নিট পেনশনের ওপর এই হারে সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে যাঁরা সম্পূর্ণ পেনশন সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। একইভাবে বিনা বেতনে ছুটিতে থাকা কর্মচারীরাও এই সুবিধার আওতায় থাকবেন না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা তাঁদের সর্বশেষ মূল বেতনের ভিত্তিতে নির্ধারিত হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন। তবে বরখাস্তকৃত কর্মচারীরা তাঁদের শেষ মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে এবং কিছু চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা আলাদা আদেশের মাধ্যমে সুবিধা পাবেন।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ৮১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা করা হয়েছে। এই বরাদ্দে অবসর ভাতা বা সঞ্চয়পত্রের সুদের অর্থ অন্তর্ভুক্ত নয়। আগের অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিল ৯০ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা।
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের প্রেক্ষাপটে রপ্তানিনির্ভর প্রণোদনার তৃতীয় ধাপের কার্যকারিতা পিছিয়ে ১