জামায়াত ইসলামের জনসভায় মানুষের ঢল নেমে আসে। বিকেল ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জুমার নামাজের পরই সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সমাগমে কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে রংপুর জিলা স্কুল মাঠ। লোকসমাগম মাঠ ছেড়ে উপচে পড়েছে সড়কে।
শুক্রবারের এ জনসভায় জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সব খুনির বিচার, প্রয়োজনীয় সব সংস্কারের পর নির্বাচনসহ চার দফা দাবিতে এই জনসভার আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামীর রংপুর মহানগরী ও জেলা শাখা।
তথ্য অনুযায়ী, সকাল থেকেই বিভিন্ন স্লোগানে জনসভাস্থল মুখরিত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ‘আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে জিলা স্কুল মাঠ।
দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এই স্লোগানের পাশাপাশি সংস্কার ও বিচারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্লোগান দিচ্ছেন। তারা হাতে বাংলাদেশের জাতীয় ও দলীয় পতাকার পাশাপাশি মাথায় লাল-সবুজের পতাকা বেঁধেছেন। দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ছেয়ে গেছে পুরো মাঠ।
দুপুর ২টার দিকে বিভাগীয় নেতাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর আগে সকাল থেকেই মঞ্চে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা হামদ-নাত ও ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন।
মৃদু দাবদাহ উপেক্ষা করে রংপুরসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলা থেকে আসা বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সরব উপস্থিতিতে শুরু হওয়া এই জনসভায় নারীদের জন্য বক্তব্য শোনার ব্যবস্থা রয়েছে। জনসভায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত যোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত হয়েছে। আছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
বর্তমানে মঞ্চে রংপুর বিভাগের আট জেলার নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখছেন।
উপস্থিত এক ব্যাক্তি বলেন ‘এত রোদে বসে আছি, তবু কষ্ট মনে হচ্ছে না। আল্লাহর জন্য কষ্ট করলে এর ফল কেয়ামতের মাঠে পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে আমরা কুরআনের শাসন ব্যবস্থা দেখতে চাই। জামায়াত ইসলামী ছাড়া অন্য কোনো দলকে দিয়ে এদেশে দ্বীনি সরকার গঠন করা সম্ভব হবে না। আমরা আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই। এটাই আমাদের স্লোগান।’
বিভাগীয় এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এতে প্রধান বক্তা সদ্য কারামুক্ত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম।