হলিউড অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মানহানির মামলা করার কারণে পরিচালক ও সহ-অভিনেতা জাস্টিন বালডোনিকে কয়েক কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ দাবিটি ক্যালিফোর্নিয়ার নতুন একটি আইন অনুযায়ী করেছেন তিনি। যৌন হয়রানির শিকার ব্যক্তিদের আইনি সুরক্ষা দিতে নতুন চালু হওয়া এই আইনের প্রথম বড় ধরনের পরীক্ষা হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে এই মামলা। লাইভলি অভিযোগ করেছেন, ‘‘ইট এন্ডস উইথ আস’ চলচ্চিত্রের শুটিং চলাকালে বালডোনি তাকে যৌন হয়রানি করেন। তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর প্রতিশোধ হিসেবে তার বিরুদ্ধে অনলাইন অপপ্রচারও চালান বালডোনি। এর জবাবে বালডোনি ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি মানহানি মামলা করেন। সেখানে লাইভলির বিরুদ্ধে তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ তোলার অভিযোগ করা হয়। চলতি বছরের জুন মাসে বিচারক লুইস লিমান বালডোনির মামলাটি খারিজ করে দেন, যা লাইভলির জন্য বড় আইনি বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তার পক্ষ থেকে করা মূল যৌন হয়রানির মামলাটি নিউ ইয়র্কের ফেডারেল আদালতে আগামী বসন্তে শুনানির জন্য নির্ধারিত হয়েছে। সাম্প্রতিক এক আবেদনে লাইভলির আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেছেন, মামলা পরিচালনার খরচ ও আইনজীবীর ফি বাবদ তাকে বহু মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেই সঙ্গে তার আর্থিক, মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতির জন্য তিনগুণ ক্ষতিপূরণ এবং আদালতের অপব্যবহারের কারণে অতিরিক্ত জরিমানাও দাবি করা হয়েছে। লাইভলির দল বলছে, ২০২৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম ‘যৌন হয়রানির অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে অপব্যবহৃত মানহানি মামলার বিরুদ্ধে সুরক্ষা আইন’ নামে যে আইনটি পাস করেন সেই আইনের আওতাভুক্ত তাদের মামলাটি। এই আইন অনুযায়ী, যৌন হয়রানির অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না যদি তাদের অভিযোগ সত্যতা যাচাইযোগ্য এবং তারা তা কু-উদ্দেশ্যহীনভাবে করে থাকেন। তবে বিচারক লিমান এখনো এই আইনের উপযুক্ততা নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেননি। বালডোনির আইনজীবীরা দাবি করছেন, অনেক তথ্য প্রমাণিতি হওয়ার আগেই এই আইনটি মামলাকে অন্যায্যভাবে খারিজ করে দেয়ার পথ তৈরি করে। তারা আরও বলেন, এই আইন সংবিধানিকভাবে প্রথম সংশোধনীতে থাকা নাগরিকদের ‘আবেদন জানানোর অধিকার’কে সীমিত করে ফেলে। এদিকে লাইভলির আইনজীবীরা চাচ্ছেন, আদালত সরাসরি ক্ষতিপূরণের আদেশ দিক এবং পরে প্রয়োজনে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হোক।