জানা নিউজ

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্মিত ঘর হস্তান্তর: সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা প্রধান উপদেষ্টার

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্মিত ঘরের চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “এই বন্যা যে কত বড় ছিল, সেটা আমরা পুরোপুরি উপলব্ধি করেছি অনেক পরে, যখন এর রেশ কেটে গেছে।”

বুধবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁওয়ের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “প্রথমে আমরা ধারণাও করতে পারিনি এই দুর্যোগ কতটা গভীরভাবে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করবে। সবার আগে জীবন বাঁচাতে ত্রাণ পৌঁছানোই ছিল মূল লক্ষ্য।”

ড. ইউনূস জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর নির্মাণে নগদ অর্থ বিতরণের বদলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে কাজটি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ায় তিনি স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং বলেন, “সেনাবাহিনী যখন দায়িত্ব নেয়, তখনই বুঝেছিলাম, অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা জানান, নির্ধারিত অর্থের অর্ধেক খরচ করেই ঘর নির্মাণ সম্ভব হয়েছে, তাও আবার মানসম্পন্নভাবে। তিনি বলেন, “সাধারণত বরাদ্দকৃত অর্থের দ্বিগুণ দাবি করা হয়, কিন্তু এখানে তার বিপরীতটি ঘটেছে। এটি একটি আনন্দের খবর।”

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, প্রকল্পের আওতায় ২৯৮টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে, আর দুটি ঘর ভূমি জটিলতার কারণে নির্মিত হয়নি, যা শিগগিরই শেষ হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম পাটোয়ারী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

বক্তব্যের শেষভাগে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা একটি সাহসী ও স্বনির্ভর জাতি গড়তে পারব।