সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল আগেই। তাই সাউদাম্পটনে শেষ ওয়ানডেতে কেবল ধবলধোলাইয়ের লজ্জা এড়ানোর লড়াই ছিল ইংল্যান্ডের সামনে। কিন্তু ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের শিষ্যরা যেন নতুন রূপে হাজির হলো। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ৫৪ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রানের ব্যবধানে জয় তুলে নিলো। গত রোববার রাতে প্রোটিয়াদের ৩৪২ রানে হারিয়ে রেকর্ড বইতে নতুন অধ্যায় লেখে স্বাগতিকরা। এর আগে ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কাকে ৩১৭ রানে হারিয়েছিল ভারত, যা ছিল সর্বোচ্চ রানের ব্যবধান। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিলো ইংল্যান্ড। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৪১৪ রানের পাহাড় গড়ে। ইনিংসের ভরকেন্দ্রে ছিল জো রুট ও জ্যাকব বেথেলের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। রুট ৯৬ বলে ১০০ রান করেন ৬ চারে। আর বেথেল খেলেন ৮২ বলে ১১০ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ১৩ চার ও ৩ ছক্কা। ওপেনার জেমি স্মিথ ঝড়ো ব্যাটিংয়ে করেন ৬২ রান। আর ইনিংসের শেষ দিকে জস বাটলার অপরাজিত থাকেন ৩২ বলে ৬২ রানে। ৪১৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় জোফরা আর্চারের সামনে। মাত্র ১৮ রান খরচায় তিনি শিকার করেন ৪ উইকেট। প্রথমেই সাজঘরে পাঠান এইডেন মার্করামকে। তারপর ধসে পড়ে প্রোটিয়াদের টপ অর্ডার। ভিয়ান মুল্ডার শূন্য, রায়ান রিকেলটন ১, আর প্রতিশ্রুতিশীল ম্যাথু ব্রিটজ মাত্র ৪ রান করে ফেরেন। কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন ত্রিস্টান স্টাবস। তবে ১০ রানে তাকেও আউট করেন আর্চার। মাত্র ২৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কেশব মহারাজ ও করবিন বশ। তবে এই জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। শেষ পর্যন্ত ২০.৫ ওভারে মাত্র ৭২ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের রেকর্ড গড়ার দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের জন্য ছিল দুঃস্বপ্ন। অভিষেক ম্যাচে কোডি ইউসুফ ১০ ওভারে ৮০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। আর নান্দ্রে বার্গারের দিনটি ছিল আরও ভয়াবহ। তিনি ৯৫ রান দিয়েছেন সমান ওভারে, যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ বোলিং পরিসংখ্যান। দারুণ বোলিং করে ম্যাচসেরা হন জোফরা আর্চার। আর সিরিজে দারুণ বোলিং করে সেরা হন কেশভ মহারাজ।