আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেটের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। রোববার (২২ জুন) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাজেটের এ চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। আলোচিত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অবশেষে বাদ দেওয়া হয়েছে বাজেট থেকে।
গত ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বিটিভিসহ একাধিক টেলিভিশনে নতুন বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। চলতি অর্থবছরের তুলনায় এবারের বাজেটের আকার ৭ হাজার কোটি টাকা কম। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সরকার আগামী অর্থবছরে সাড়ে ৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
প্রথমে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার কথা থাকলেও বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় তা বাদ দেওয়া হয়। বাজেট ঘোষণার এই পদ্ধতিটি বাংলাদেশে নতুন নয়। এর আগেও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৭-০৮ এবং ২০০৮-০৯ অর্থবছরের বাজেট টেলিভিশন ও বেতারে ঘোষণা করেছিলেন।