জানা নিউজ

লালন সংগীতের কিংবদন্তি ফরিদা পারভীনকে শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা

প্রয়াত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। রোববার দুপুর ১২ টার দিকে শিল্পীর মরদেহ সেখানে নেওয়ার হয়। শহীদ মিনারে তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ।

বৃষ্টির কারণে কিছুটা বিলম্ব হলেও মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশজুড়ে অগণিত মানুষ শহীদ মিনারে ছুটে আসেন। গীতিকার ও নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, “ফরিদা পারভীন একজন শিল্পীর চেয়েও বড়। লালনগীতে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। তাঁর প্রয়াণে আমাদের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হলো।” নির্মাতা কামার আহমেদ সাইমন বলেন, “ফরিদা পারভীন চলে যাওয়া মানে শুধু একজন মানুষ চলে যাওয়া নয়, একটি সময় চলে গেছে। তিনি আর কখনও হবে না।” কণ্ঠশিল্পী বিউটি জানান, “ফরিদা পারভীন ম্যাম চলে গেছেন, আল্লাহ যেন জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করেন। লালন সংগীতে তাঁর ভক্তরা এই ক্ষতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুভব করছে।”

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হয় এবং বাদ যোহর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর কুষ্টিয়ায় নেওয়া হবে ফরিদা পারভীনের মরদেহ, যেখানে আরেক দফা জানাজা শেষে কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে। শিল্পীর ছেলে ইমাম নাহিল সুমন সাংবাদিকদের জানান, মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী কুষ্টিয়াতেই তাঁকে দাফন করা হবে।

ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। চলতি বছরে তিন দফায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাকে। সর্বশেষ ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার পরই তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয় এবং পরে লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়। ইউনিভার্সেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানান, বুধবার থেকেই ফরিদা পারভীনের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল। তার কিডনি ও ব্রেইন কাজ করছিল না, এবং রক্তের ইনফেকশন পুরো শরীর ছড়িয়ে পড়েছিল। সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।