জানা নিউজ

ভিন্ন রূপে ধরা দিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আবারও প্রমাণ করেছেন, তিনি কেবল একজন অভিনেত্রী নন; বরং এক নিখুঁত স্টাইল আইকনও। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর লম্বা কালো চুল ভক্তদের কাছে ছিল এক ধরনের ‘ট্রেডমার্ক’। কিন্তু এবার সেই চেনা চেহারা ভেঙে একেবারে ভিন্ন রূপে হাজির হয়েছেন তিনি। এবার দেখা গেল তাঁকে হালকা সোনালি রঙের ছোট বব হেয়ারস্টাইলে। সম্প্রতি লন্ডনে ‘অ্যাংকশাস পিপল’ সিনেমার সেটে এভাবেই ধরা দিয়েছেন তিনি। প্রায় তিন দশকের মধ্যে এটাই তাঁর সবচেয়ে ছোট হেয়ারস্টাইল। প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, তিনি পরেছেন লম্বা সাদা র্যারপ টপ, ফ্লোই ক্যাপ্রি প্যান্ট, সঙ্গে হালকা লাল লিপস্টিক ও সোনালি ব্রোচ। সাধারণত লম্বা কালো চুলে অভ্যস্ত ভক্তরা নতুন এই রূপ দেখে এককথায় মুগ্ধ হয়েছেন। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ক্যারিয়ারে যেমন বহুমাত্রিক চরিত্র এসেছে, তেমনি প্রতিটি লুকও দর্শকদের মনে রেখাপাত করেছে। ‘গার্ল, ইন্টারাপটেড’ থেকে শুরু করে ‘মেলিফিশেন্ট’- প্রতিবারই তিনি নতুন রূপে হাজির হয়েছেন। তবে সোনালি ছোট বব হেয়ারকাট তাঁর জন্য একেবারেই নতুন অধ্যায়, যা শুধু ছবির চরিত্রের প্রয়োজনে নয়; বরং তাঁর ক্যারিয়ারের ফ্যাশন মাইলস্টোন হিসেবেও ধরা হচ্ছে। ‘অ্যাংকশাস পিপল’ সিনেমায় জোলির লুকের ছবিটি প্রথম প্রকাশিত হয় ব্যাকগ্রিডে, এরপর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ফ্যান ক্লাবগুলোতে। সামাজিক মাধ্যমে এক ভক্ত লিখেছেন, “এ যেন নতুন এক জোলি, অথচ আগের মতোই মোহময়ী।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “তিনি যখনই লুক পরিবর্তন করেন, তখনই সেটি ফ্যাশনের নতুন ধারা হয়ে ওঠে।” মার্কিন একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুটিংয়ের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ২৪ বছর বয়সী ছেলে ম্যাডক্স জোলি-পিট, যাঁকে তিনি সাবেক স্বামী ব্র্যাড পিটের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। মা-ছেলের এই মুহূর্তও আলাদা করে নজর কেড়েছে ভক্তদের। সিনেমাটি নির্মাণ করছেন মার্ক ফস্টার। চিত্রনাট্য লিখেছেন ডেভিড মেজে। এতে জোলি ছাড়াও অভিনয় করছেন জেসন সিগেল এবং আইমি লু উড। জানা গেছে, ২০২৬ সালে মুক্তি পাবে ছবিটি। ‘অ্যাংকশাস পিপল’ নির্মিত হচ্ছে ফ্রেডরিক ব্যাকম্যানের নিউইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার উপন্যাস অবলম্বনে। ছবির গল্পে দেখা যাবে বড়দিনের আগের দিন এক বিনিয়োগ ব্যাংকার জারা হঠাৎ জড়িয়ে পড়েন এক অদ্ভুত পরিস্থিতিতে। সেখানে এক ব্যর্থ ব্যাংক ডাকাত ভুল করে কয়েকজন অচেনা মানুষকে জিম্মি করে ফেলে। শুরু হয় বিশৃঙ্খলা, একের পর এক গোপন রহস্য উন্মোচিত হতে থাকে, আর ঘটনার মোড় ঘুরতে থাকে ক্রমাগত। শেষ পর্যন্ত গল্পটি হয়ে ওঠে বন্ধুত্ব, ক্ষমা আর আশার শক্তির এক অনন্য উদযাপন।