বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ শুক্রবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বললেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে বিএনপির জনপ্রিয়তা বোঝা যাবে। বিএনপি যুগ যুগ ধরে জনগণের কাছে জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দল।
রুহুল কবির রিজভী আরও যোগ করে বলেন, “গণতন্ত্র যখনই ধ্বংস কিংবা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে, তখনই বেগম খালেদা জিয়া বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন। পরমত সহিষ্ণুতাও গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। যেকোনো ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের কেউ যেন কারও সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়ে-এ জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অপরাধ করলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান-জিরো টলারেন্স।”
বিএনপির এ নেতা বলেন, সম্প্রতি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ৪ থেকে ৫ হাজার নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তগুলো ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে বনানীতে যুবদলের এক নেতার নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ঘটনার পরপরই বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপি কখনও মাফিয়াতন্ত্র কিংবা সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়নি জানিয়ে রিজভী বলেন, দলের গঠনমূলক সংস্কার ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, এতে কোনো রকম আপস নেই।
বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যারা গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গি চাপিয়ে দিতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য জনগণ বুঝে ফেলেছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিন, তাহলেই বোঝা যাবে-জনগণ কার পক্ষে রয়েছে।