মহাসড়কের পাশের জঙ্গল থেকে পলিথিনে মোড়ানো, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এসিডদগ্ধ এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নারীর নাম মারিয়া আক্তার (২৩)। তিনি বরিশাল নগরীর রুপাতলী গ্যাস্টারবাইন এলাকার বাসিন্দা মৃত মামুন হাওলাদারের মেয়ে।
বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানাধীন তালুকদারহাট এলাকার মহাসড়কের পাশের জঙ্গল থেকে রবিবার (২ জুন) ভোরে মারিয়াকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা ভোরবেলা দোকানে যাওয়ার সময় মহাসড়কের পাশের জঙ্গলে পলিথিনে মোড়ানো একটি অচেতন দেহ দেখতে পান। কাছে গিয়ে দেখতে পান, নারীটি জীবিত, তবে তার হাত-পা বাঁধা এবং শরীরের বড় একটি অংশ এসিডে ঝলসে গেছে। তাৎক্ষনিক বন্দর থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রবিবার দুপুরে মারিয়া আক্তারের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় মারিয়া ভোলার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মারিয়া আক্তারকে এখন আশঙ্কামুক্ত অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শরীরের বেশ কিছু অংশে এসিডে পোড়ার ক্ষত রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দুপুর দুইটার দিকে মারিয়া আক্তার জানিয়েছেন, ভোলার ব্যবসায়ী মশিউর রহমানের সাথে প্রায় এক বছর আগে তার বিয়ে হয়। এটি ছিল তার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে। মারিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, তার স্বামীর প্রথম স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ও তার ভাই হাসিব পরিকল্পিতভাবে এমন কাজ করেছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তারা আমাকে সন্তান ধারণ করতে না দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে অপহরণের পর নির্যাতন করে এসিড নিক্ষেপ করে পলিথিমে মুড়িয়ে মহাসড়কের পাশের জঙ্গলের মধ্যে ফেলে রাখে।
বরিশাল বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেলোয়ার হোসেন বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত