পাঞ্জাবে গত চার দিনের ভারি বৃষ্টিপাতজনিত দুর্ঘটনায় ১৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার উদ্ধারকারী সংস্থা ও প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর ডনের। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ভোর ৩টা ২০ মিনিটে লাহোরের শাহদারা টাউনের আব্বাস নগর এলাকায় ছাদ ধসে দুজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ শাহদারা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পিডিএমএ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার থেকে পাঞ্জাবজুড়ে বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন ঘটনায় আট শিশুসহ মোট ১২ জন নিহত ও ৩৯ জন আহত হয়েছিলেন। যা আজ বেড়ে নিহতের সংখ্যা ১৪ জনে পৌঁছেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেয়াল ও ছাদ ধসে এই প্রাণহানি ঘটেছে। কাসুর, ওকারা, বাহাওয়ালনগর, ফয়সালাবাদ ও ওয়াজিরাবাদে ছাদ বা দেয়াল ধসে শিশুসহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, ঝিলামে দুজন পুরুষ বৃষ্টির নালায় ডুবে গেছেন, খানেওয়ালে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মান্ডি বাহাউদ্দিন, সাহিওয়াল, চিনিওট, মুলতান, শেখুপুরা ও নানকানা সাহিবেও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। পিডিএমএ-এর মহাপরিচালক ইরফান আলী কাঠিয়া আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি নিহতদের স্বজনদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নাগরিকদের প্রতিকূল আবহাওয়ায় অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে ও জরাজীর্ণ বাড়িতে না থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। শিশুদের বৃষ্টির ড্রেন, বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটি থেকে দূরে রাখার জন্যও সতর্ক করেছেন। পিডিএমএ জানিয়েছে, পাঞ্জাবে মৌসুমি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে, এর প্রথম ধাপ ১ জুলাই পর্যন্ত চলবে। প্রদেশের বেশিরভাগ জেলায় তীব্র বাতাস ও বজ্রঝড়সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই বছর পাঞ্জাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।