ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্রের সদর দপ্তরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং (আইআরআইবি) কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (১৭ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক সংস্থা আইআরআইবি জানিয়েছে, হামলার সময় সরাসরি সম্প্রচার চলছিল। সংবাদ উপস্থাপক সাহার ইমামি ‘মাতৃভূমির বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ নিন্দার ভাষণে ব্যস্ত ছিলেন, তখনই একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে স্টুডিও ধোঁয়া ও ধ্বংসাবশেষে আবৃত হয়ে যায়। ওই সময়ের ফুটেজে দেখা যায়, সাহার ইমামি দ্রুত স্টুডিও থেকে বের হয়ে যান, যা হামলার ভয়াবহতা তুলে ধরে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এই হামলাকে ‘জঘন্য কাজ’ হিসেবে উল্লেখ করে ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “ইসরায়েল সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মীদের অন্যতম প্রধান হত্যাকারী এবং এই হামলা যুদ্ধাপরাধের অংশ।” এই ঘটনা ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম যেমন আল-জাজিরা জানায়, হামলার ঘটনায় তিনজন নিহতের পাশাপাশি বহু আহত হয়েছে। হামলার পর আইআরআইবি কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের সম্প্রচার পুনরায় শুরু করেছে। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাসান আবেদিন বলেন, “ইহুদিবাদী সরকার সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইসলামি বিপ্লবকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।”
ঘটনার পর ইসরায়েলি বিমান হামলার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, বিস্ফোরণের সময় নিউজ অ্যাঙ্কর নারী দ্রুত আসন ত্যাগ করেন এবং স্টুডিওতে ধুলো ও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।