জানা নিউজ

লন্ডনের বৈঠকের পর দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে গুণগত পরিবর্তন এসেছে: মঈন খান

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান জানিয়েছেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর বাংলাদেশে একটি ‘গুণগত পরিবর্তন’ দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, “কে কী বলছে তা বড় কথা নয়—এই পরিবর্তন এখন বাস্তবতা।”

সোমবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মঈন খান এসব মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ড. মঈন খান জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, লন্ডনের বৈঠক-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া, দেশের ভৌগোলিক ও কৌশলগত অবস্থান, এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, “মানুষ এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন, তারা ভোট দিতে প্রস্তুত। কেউ না খেয়ে থাকলেও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে চায়।”

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই মানুষের মধ্যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। দেশের মানুষ এখন ভাবছে—গণতন্ত্র ফিরে আসছে।”

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বৈঠকে অর্থপাচার ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নসহ ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক সরকারের কর্মকৌশল নিয়েই আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক চলাকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, “ব্রিটিশরা তো গণতন্ত্রের সূতিকাগার। তারা যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে না চায়, তাহলে আর কে চাইবে?” তার মতে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যখন ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়, তখন জনগণের মধ্যে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়, যা স্পষ্টভাবে গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহের প্রতিচ্ছবি।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। তারা মূলত দেশীয় রাজনীতি, আগামীর নির্বাচনী পরিবেশ, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ রূপরেখা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেন।

মঈন খান আরও বলেন, “আমরা সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিও আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল। কারণ একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনের স্বপ্ন আমরা লালন করি।”

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ঐকমত্য কমিশনের’ সঙ্গে আলোচনা আবার শুরু হবে। দলটি চায়—কোনো ধরনের সংঘাত ছাড়াই একটি অংশগ্রহণমূলক এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের পথ সুগম হোক।