জানা নিউজ

ভোলা ৪ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম নয়নের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

জাহিদুল  ইসলাম,ঢাকা: জাতীয় সংসদের ভোলা ৪ আসনকে ঘিরে বিএনপির শীর্ষ দু নেতার প্রতিযোগীতায় নুরুল ইসলাম নয়নের দিকেই ঝুকছে বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মী।

গত কয়েক বছর ধরেই এ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার অন্যতম সহযোগী সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া, যুবদলের সাবেক উজেলা সভাপতি দিপু ফরাজি। সাবেক কমিটির বিরুদ্ধে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন সহ নানা অনিয়মের অভিয়োগ রয়েছে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুথ্যানের পর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মালতিয়া ও দিপু ফরাজির বিরুদ্ধে দখল বানিজ্য,চাঁদাবাজি ভাংচুরের অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসতে থাকলে কেন্দ্রীয় ভাবে উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিষয়টিকে আমলে নিয়ে সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমকে অভিযুক্ত করতে থাকেন। নাজিম উদ্দিন আলম এ দু নেতাকে নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হয়েছেন মর্মে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযোগ আসতে থাকে।  বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে উপজেলা বিএনপির নির্যতিত নেতাকর্মীদের ঠিকমত খোজ খবর না রাখা মামলা মোকাদ্দমায় সহযোগীতা না করা দলীয় কর্মসূচীতে অনুপস্থিতি, দীর্ঘ সময় এলাকায় অনুপস্থিত  থাকার কারনে নাজিম উদ্দিন আলম কর্মীদের কাছে জনপ্রিয়তা হারাতে থাকেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নেতাকর্মীরা স্থানীয় নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে নুরুল ইসলাম নয়নের দিকে ঝুকতে থাকে। উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা নুরুল ইসলাম নয়নের সাথে সাক্ষাত করে তার সাথে একাত্ততা ঘোষণা করে। ইতোমধ্যে উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী নয়নের পেক্ষে অবস্থান নিয়েছে।ফলে উপজেলা বিএনপি নাজিম উদ্দিন আলমের নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। আগামীতে তিনি কমিটিতে স্থান না পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে বলে মনে করেন বিএনপি কর্মীরা। উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার পেছনে নয়নের হাত রয়েছে বলে বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে জণশ্রুতি আছে। নয়ন সমর্থিত নেতারা মনে করেন তারুন্যদীপ্ত যুবনেতা  যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের যোগ্য নেতৃত্বে চরফ্যাশন মনপুরার জনগণ ঐক্যবদ্ধ থেকে বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করবে এবং এ আসন থেকে নুরুল ইসলাম নয়ন বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। অন্যদিকে নাজিম উদ্দিন আলম সমর্থকরা মনে করেন সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম এখনও অনেক জনপ্রিয় তিনি মনোনয়ন পাবেন। গত ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দু পক্ষই আলাদা আলাদা সমাবেশের আয়োজন করে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে নয়নপন্থী সমর্থকদের অধিক হারে সমাবেশে যোগদান করতে দেখা যায়। তাতে আলমপন্থী সাবেক দু নেতা নয়ন সমর্থকদের আওয়ামী লীগ অনুসারী বলে সমাবেশে ঘোষনা দেন। এর পরদিন পৌর বিএনপি নেতা খাইরুল ইসলাম সোহেল শতাধিক নেতাকর্মীসহ নয়নের সাথে দেখা করে তার নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানান। এরই মধ্যে গোফরান মহাজন, সাবেক কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন জোটন,সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মন্জুর হোসেন,ফখর উদ্দিন শাহীন মালতিয়া, শাহীন কমিশনার, জাহিদুল ইসলাম রাসেল কমিশনার,আবু সায়েম মালতিয়া,:অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান,সহ শতশত নেতা কর্মী স্থানীয় নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় নুরুল ইসলাম নয়নের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দিন যত গড়াচ্ছে নয়নের পাল্লা ততই ভারী হচ্ছে। স্থাণীয় বিএনপির এক বর্ষীয়ান সমর্থক মনে করেন “প্রতিযোগীতায় নুরুল ইসলাম নয়নের দিকেই ঝুকছে বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মী।”