জানা নিউজ

৯ কোটি টাকার সরকারি অনুদান পাচ্ছে ৩২টি চলচ্চিত্র

চলচ্চিত্র শিল্পে সৃজনশীলতা ও মেধার বিকাশে নিয়মিতভাবে অনুদান দিয়ে আসছে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩২টি চলচ্চিত্র নির্মাণে মোট ৯ কোটি টাকা সরকারি অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার রাতে দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত জানায়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এই অনুদানের আওতায় পড়ছে। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রত্যেকটি প্রকল্প পাবে ৭৫ লাখ টাকা করে, আর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য বরাদ্দ থাকবে ২০ লাখ টাকা করে। চলচ্চিত্র শিল্পে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অংশ হিসেবে এবং নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের উৎসাহিত করতে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এসব অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে শিশুতোষ শাখায় জগন্ময় পালের প্রযোজিত ‘রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান’। প্রামাণ্যচিত্র শাখায় অনুদান পাচ্ছে লাবিব নামজুছ ছাকিবের প্রযোজিত ‘মায়ের ডাক’। রাজনৈতিক ইতিহাস বিষয়ক শাখায় নির্বাচিত হয়েছে মাহমুদুল ইসলামের প্রযোজনায় ‘জুলাই’, যেখানে বাংলার রাজনৈতিক অভ্যুত্থান, আন্দোলন ও বিপ্লবের পটভূমি উঠে আসবে। সাংস্কৃতিক ইতিহাস শাখায় রয়েছে হাসান আহম্মেদ সানির প্রযোজনায় ‘রুহের কাফেলা’।
সাধারণ শাখায় অনুদানপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো সিংখানু মারমার ‘পরোটার স্বাদ’, সৈয়দ সালেহ আহমেদ সোবহানের ‘খোঁয়ারি’, এম আলভী আহমেদের ‘জীবন অপেরা’, গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘জলযুদ্ধ’, মুশফিকুর রহমানের ‘কবির মুখ ঞযব ঞরসব কববঢ়বৎ’, আনুশেহ আনাদিলের ‘কফিনের ডানা’, মোছা. সাহিবা মাহমুবের ‘নওয়াব ফুজুন্নেসা’ এবং সুজন মাহমুদের ‘জুঁই’।
অন্যদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে শিশুতোষ শাখায় অনুদান পাচ্ছে মাহবুব আলমের ‘মন্দ-ভালো’। প্রামাণ্যচিত্র শাখায় নির্বাচিত হয়েছে সাব্বিরের ‘ফেলানী’, তাফজিরা রহমান সামিয়ার ‘ঝুঁকির মাত্রা’ এবং জাহিদ হাসানের ‘জীবনের গান’।
রাজনৈতিক ইতিহাস শাখায় রয়েছে শ্রী অভীক চন্দ্র তালুকদারের ‘হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই’, মোহাম্মদ সাইদুল আলম খানের ‘ভরা বাদর’ এবং সালমান নূরের ‘১২৩০’। সাংস্কৃতিক ইতিহাস শাখায় অনুদান পাচ্ছে শুভাশিস সিনহার ‘বৃন্দারাণীর আঙুল’।
সাধারণ শাখায় নির্বাচিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো সাদমান শাহরিয়ারের ‘একটি সিনেমার জন্য’, মো. সাইদুল ইসলামের ‘দাফন’, মোহাম্মদ ইফতেখার জাহান নয়নের ‘সাতীর’, নোশিন নাওয়ারের ‘মাংস কম’, সুমন আনোয়ারের ‘গগন’, মোঃ আবিদ মল্লিকের ‘অতিথি’, সালজার রহমানের ‘বোবা’, সাদিয়া খালিদের ‘অদ্বৈত’, মো. আরিফুর রহমানের ‘আশার আলো’, এবং মো. মনিরুজ্জামানের ‘গর্জনপুরের বাঘা’।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এমন উদ্যোগ দেশীয় চলচ্চিত্রের গল্প বলার জগতে নতুন নতুন সৃষ্টির দুয়ার খুলে দেবে বলে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।