জানা নিউজ

হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার সেন্ট কিটসে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান করে সফরকারীরা। ওই রান তাড়ায় নেমে ২৪ বল আগে জয় পায় ক্যারিবীয়রা। ওয়ার্নার পার্কে এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল না। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৯৪ রানের রেকর্ডটি ছাড়িয়ে গেছে তারা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ বলে কোনো রান করার আগেই সাজঘরে ফেরত যান তানজিদ হাসান তামিম। আলজারি জোসেফের বলে ক্যাচ দেন তিনি। এক বল পর শূন্য রানেই আউট হন তানজিদ হাসান তামিমও।  এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১২৭ বলে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন সৌম্য ও মিরাজ। গুদাকেশ মোতির বলে সৌম্য এলবিডব্লিউ হলে এই জুটি ভাঙে। ৭২ বল খেলে ৬ চার ও চারটি ছক্কায় ৭৩ রান করে আউট হন তিনি। মিরাজও রান আউট হয়ে যান ৭৩ বলে ৭৭ রান করে।  এই সিরিজেই দলে সুযোগ পাওয়া আফিফ হোসেন ব্যর্থ হন আরও একবার। ২৯ বল খেলে ১৫ রান করেন তিনি। তবে বাংলাদেশকে পথ হারাতে দেয়নি মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলির জুটি। ১১৭ বলে ১৫০ রানের জুটি গড়েন তারা।

তাদের জুটিতে ভর করে বাংলাদেশের রানও তিনশ ছাড়িয়ে যায়। ৬৩ বলে ৭টি চার ও চারটি ছক্কায় ৮৪ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ৫৭ বলে ৬২ রান আসে জাকের আলির ব্যাট থেকে। দুজনেই থাকেন অপরাজিত।  রান তাড়ায় নেমে বেশ চাপে পড়ে যায় ক্যারিবীয়রা। ৩১ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। এরপর শেরফান রাদারফোর্ডের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়েন কেসি কার্টি। ৩৩ বলে ৩০ রান করে তাসকিনের বলে ক্যাচ দিয়ে রাদারফোর্ড ফিরলে এই জুটি ভাঙে।

কিন্তু তার বিদায়ের পরই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া জুটি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কেসি কার্টির সঙ্গে ১৩২ রানের জুটি গড়েন আমির জঙ্গুয়ে। দুজনের জুটিতে ম্যাচে বেশ ভালোভাবে ফিরে আসে স্বাগতিকরা।

অবশ্য ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়ার আগেই ফেরেন কার্টি। ৮৮ বলে ৯৫ রান করে রিশাদের বল মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন। তার বিদায়ের পরও পথ হারায়নি দল।

বাকি পথটুকু তাদেরকে টেনে নিয়ে যান জঙ্গুয়ে। মাঝে অবশ্য রিশাদ নিজের বলেই দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে ফেরান রস্টন চেজকে। তবে অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছেন জঙ্গুয়ে। শেষ অবধি ৮৩ বল খেলে ১০৪ রান করেছেন তিনি। বাংলাদেশের সঙ্গী হয় হোয়াইটওয়াশের স্মৃতি।