ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনার (এফটিপি) আওতায় আগামী আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের। সূচি অনুযায়ী, ১৭ আগস্ট থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার কথা, আর ২৬ আগস্ট থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কিন্তু গত কয়েক মাসে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে এই সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশে ভারতীয় দলের এই সফল বাতিল সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়ে বিসিসিআইয়ের এক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়েছে এএনআই লিখেছে, ভারতের বাংলাদেশ সফর বাতিল হতে পারে। কারণ সরকার বিসিসিআইকে বাংলাদেশে না যেতে পরামর্শ দিয়েছে। কারণ ওখানে পরিস্থিতি ঠিক নেই। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শিগগিরই আসবে। গত সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভা শেষে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও ভারতীয় দলের সফর নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি। পাকিস্তান ও ভারতের বাংলাদেশ সফরে আসা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বুলবুল জানান, পাকিস্তান যথাসময়েই আসছে। কিন্তু ভারত সফর নিয়ে কোনো নিশ্চিত মন্তব্য বের হয়নি বিসিবি সভাপতির মুখ থেকে। শুধু বলেন, ভারতীয় বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। ভারত সফর নিয়ে আলোচনা পজিটিভ। আলোচনা চলছে, কীভাবে সিরিজ আগাতে পারি। বোঝাই যাচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কর্তারা বাংলাদেশে পূর্বনির্ধারিত সফর নিয়ে দোটানায় আছেন। যদি তারা নিশ্চিত করে কিছু বলতেন, তবে বিসিবি সভাপতি অবশ্যই তা মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভারত সফর বাতিল করার কথা না জানালেও আগস্টে বাংলাদেশে খেলতে আসতে চায় না। সেটা না চাওয়ার কারণ সবারই অনুমেয়, বাংলাদেশে ভারত-বিদ্বেষী মনোভাব। বিগত দিনে বাংলাদেশের ওপর সব বিষয়ে খবরদারি, নজরদারি ও প্রভাব খাটানোর কারণে নতুন প্রজন্ম ভারতের ওপর চরম নাখোশ। যার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দল হয়তো তাদের জাতীয় দলের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। আর তাই আগস্টে বাংলাদেশ সফর করার আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বারবার ভাবছে। শেষ পর্যন্ত বিসিবি ও বিসিসিআই কীভাবে এফটিপির আওতায় থাকা সফর এগিয়ে নিয়ে যায় সেটিই দেখার। ভারত সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেছিল ২০২৪ সালে, যেখানে দুই দল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও দুটি টেস্ট খেলেছিল। সবগুলো ম্যাচই জিতেছিল ভারত।