জানা নিউজ

বিপিএলে নতুনত্ব – যা বললেন ফারুক

নতুনত্ব নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আমরা নতুন একটা সরকার পেয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি, এর আগে যে ১০টা বিপিএল এসেছে, সেসবের চেয়ে আলাদা করার জন্য। অনেক পরিকল্পনা করেছি। আশা করি, খুব ভালো টুর্নামেন্ট হবে। আমার মনে হয়, সেটা সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারবে, আপনারা সবাই বিপিএল উপভোগ করবেন। ’

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে নিয়মিতই। তাছাড়া ব্রডকাস্টিং ইস্যুতে আছেই।

সেসব নিয়ে ফারুক বলেন, ‘ডিজিটাল রাইটস যাদের আছে, আমরা তাদের বলেছি, ডিজিটাল পেরিমিটার বোর্ড চাই আমরা। টিভি প্রোডাকশনকে বলেছি, টিভিতে যারা খেলা দেখাবেন এবং প্রোডাকশন— দুটোই যেন অত্যন্ত চমৎকার হয়। হক-আই, ডিআরএস— এগুলো সবই থাকবে। আম্পায়ারিং আমরা খুব উন্নত করার চেষ্টা করছি। বিদেশি আম্পায়ার থাকবে। আপনারা জানেন, ধারাভাষ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মানটা উন্নত করতে আমরা অনেক চেষ্টা করছি। বড় নাম (তারকা ধারাভাষ্যকার) আনতে প্রোডাকশনের সঙ্গে আমরা আলাপ করেছি। সব বিবেচনা করেই আমার মনে হয় ভালো বিপিএল হতে যাচ্ছে। ’১২ বছরের বেশি পার হয়ে গেলেও বিপিএল সফল টুর্নামেন্টে রূপ নিতে পারেনি। কোনো না কোনো ইস্যু থাকেই। তবে সামনে আরও বড় পরিসরে পরিকল্পনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ফারুক।

তিনি বলেন, ‘১০টা বিপিএল চলে গেল, আমরা এখনো একটা নিখুঁত ভিতের ওপর দাঁড়াতে পারিনি। এই বিপিএল আমাদের এই চক্রে শেষ টুর্নামেন্ট। আমরা পরের বছর থেকে আরও বড় পরিকল্পনা করব, লম্বা সময়ের জন্য দেব দলগুলোকে। তবে এখন আমি দলগুলোকে বলব, আপনারা নিজেদের বিদেশি খেলোয়াড়, কখন অনুশীলন শুরু করবেন— সব যেন ঠিকঠাকমতো করে ফেলতে পারেন। ’টিকিট কেনা-বেচার প্রক্রিয়া নিয়ে ফারুক বলেন, ‘এবার আমরা চেষ্টা করছি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার জন্য। যেন সবাই সবার সুবিধামতো টিকিট কিনে খেলা উপভোগ করতে পারেন। আপনারা জানেন, আমরা তিনটি ভেন্যুতে (বিপিএল) করেছি। ঢাকায় শুরু করে আমরা যাব সিলেটে, ওখান থেকে আমরা যাব চিটাগং, তারপর আবার ঢাকায় এসে শেষ রাউন্ড খেলব। যারা খেলা দেখতে ইচ্ছুক, মোবাইল ফোন এবং অনেক অ্যাপস দিয়ে আপনারা ডিজিটাল টিকিটগুলো কিনে ফেলতে পারবেন। ওই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এই মাসের মধ্যে হয়ে যাবে। ’