জানা নিউজ

ফ্লোটিলা যাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল গাজার অবরোধ ভাঙা: শহিদুল আলম

বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর পান্থপথে দৃকপাঠ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে বললেন, “ফিলিস্তিনে ফ্লোটিলা যাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল গাজার অবরোধ ভাঙা। ইসরায়েলিরা সেখানে সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রবেশাধিকার অবরোধ করে রেখেছে। এই অবরোধ ভাঙাই ফ্লোটিলা যাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল। ত্রাণ বিতরণ তো একটি সিম্বলিক মাত্র।”

শহিদুল আলম বলেন, “ইসরায়েলের অবরোধের কারণে সাংবাদিকদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে সেখানকার প্রকৃত চিত্র জানা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যকর্মীদের অবাধ যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না। আক্রান্ত ফিলিস্তিনবাসীর ওপর হসপিটালে আক্রমণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মী ও মানবাধিকারকর্মীকে মেরে ফেলা হচ্ছে। আমরা প্রকৃতপক্ষে এই অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে গিয়েছিলাম।”

বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী বলেন, “যেখানে ইসরায়েল নিজেদের মোরাল আর্মি হিসেবে নিজেদের দাবি করে, সেখানে তারা কীভাবে একটি জাতির ওপর এমন নির্যাতন করছে, এটা আমাদের প্রশ্ন। আন্তর্জাতিক আইন কীভাবে তারা প্রতিদিন ভাঙছে, এটা আমাদের প্রশ্নের বিষয়।”

শনিবার ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শহিদুল আলম। এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২৫ মিনিট) তাকে বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ইসরায়েল থেকে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তখন তাকে স্বাগত জানান ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। পরে ইস্তাম্বুলের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শহিদুল আলম ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

দখলদার ইসরায়েলের হাতে তার বেআইনিভাবে আটক ও মুক্ত হয়ে ঢাকায় ফেরার অভিজ্ঞতা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।