শীত যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে পা ফাটার সমস্যা। মুখ-হাতের চামড়া শুকিয়ে গেলে তা ময়েশ্চারাইজার মেখে ঠিক করে নেওয়া যায়। কিন্তু ফুট ক্রিম মেখেও ফাটা গোড়ালিকে ঠিক করা যায় না। বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেলে ত্বকও শুকিয়ে যায়। তখন পাও ফাটতে থাকে। তবে পা ফাটার আরও কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে গেলে, কম পানি পান করলে চামড়া শুকিয়ে যায়। এছাড়া দেহে ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি-র অভাব থাকলে পায়ের গোড়ালি ফাটে। অনেক সময় এক একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগ হলেও গোড়ালি ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। যদিও সে ক্ষেত্রে ওষুধের সাহায্য নিতেই হয়। কিন্তু শুষ্ক আবহাওয়ার জেরে পা ফাটলে, আপনি ঘরোয়া কিছু উপায়ের সাহায্য নিতে পারেন।
নারকেল তেল
নারকেল তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়। নিয়মিত ত্বকে নারকেল তেল মাখলে চামড়া শুকিয়ে যায় না। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পায়ের তলায় নারকেল তেল মালিশ করুন। টানা কয়েক সপ্তাহ পায়ে নারকেল তেল মালিশ করলে পা ফাটার সমস্যা সহজেই এড়াতে পারবেন।
পেট্রোলিয়াম জেলি
ঠোঁট হোক বা গোড়ালি, শীতকালে ত্বকের যত্নে দুর্দান্ত কাজ দেয় পেট্রোলিয়াম জেলি। প্রতিদিন গোড়ালিতে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখলে পা ফাটার সমস্যা এড়াতে পারবেন।
মাউথওয়াশ
১ ভাগ মাউথওয়াশের সঙ্গে ২ ভাগ জল মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে পা ডুবিয়ে রাখুন। মাউথওয়াশ পায়ে থাকা সমস্ত জীবাণু পরিষ্কার করে দেয়। পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
কলার খোসা
ফাটা গোড়ালির উপর কলার খোসা ঘষতে পারে। এছাড়া কলার মেখে নিয়ে ফাটা অংশের উপর লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কলা গুণেও পায়ের চামড়া ভালো থাকবে।
মধু
পা ফাটার সমস্যা দূর করতে মধুকেও কাজে লাগাতে পারেন। মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা ফাটা গোড়ালিকে সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে।
Prev Post