প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আমাদের কাছে যেসব অস্ত্র আছে, বিশ্বের আর কোনো দেশের কাছে সেসব নেই। তিনি ‘ওরেশনিক’ নামে মধ্যপাল্লার হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন সম্ভাব্য’ তখন অস্ত্র নিয়ে দেওয়া তার হুমকি বেশ চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। এর আগে বৃহস্পতিবার এ ক্ষেপণাস্ত্রের ‘সফল’ পরীক্ষা করা হয়। এরপর রুশ প্রতিরক্ষা বিভাগের শীর্ষ প্রতিনিধি ও নিজের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের বৈঠকে বসেন পুতিন। সেখানে তিনি ‘ওরেশনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সফল হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান। যেহেতু রাশিয়া নতুন হুমকির সম্মুখীন, এ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন অত্যাবশ্যক বলে মন্তব্য করেন পুতিন। ‘ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রস্তুত আছে। যেকোনো সময় এসব কাজে লাগানো হবে’ বলেও ওই বৈঠকে উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আমাদের এ অস্ত্রকে আটকে দেওয়া যাবে না। আমাদের কাছে এর মজুত রয়েছে, যা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। এর পরপরই ‘ওরেশনিক’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেন পুতিন।
এদিকে ইউক্রেনের সাবেক সামরিক কমান্ডার-ইন-চিফ ভ্যালেরি জালুঝনি বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার স্বৈরাচারী মিত্রদের যুদ্ধে সরাসরি জড়িত হওয়ার অর্থ হলো- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, চলতি বছরই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে। কারণ, ইউক্রেন আর রাশিয়ার মুখোমুখি নয়। উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আসুন সত্যটা বলি। তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে ইরানি ড্রোন শাহেদের মাধ্যমে ইউক্রেনের নাগরিকদের একেবারে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। আর এখন উত্তর কোরিয়া ও চীনা যুদ্ধাস্ত্র ইউক্রেনে উড়ছে। যতই সময় যাচ্ছে, জটিল হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি। পরোক্ষভাবে এতে জড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশ। এতে নতুন এক বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।