জানা নিউজ

ট্রায়ালে আসা প্রবাসী তরুণদের নিয়ে যা জানা গেলো

১৪ দেশ থেকে যে ৫২ ফুটবলার ট্রায়াল দিচ্ছেন ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে তাদের বেশিরভাগই তরুণ। বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সিতে খেলার বুকভরা স্বপ্ন নিয়েই গাঁটের পয়সা খরচ করে তারা বাংলাদেশে এসেছেন। যাদের বেশিরভাগই হামজা দেওয়ান চৌধুরী যে দেশে লিগ খেলেন সেই ইংল্যান্ডের। তিন দিনের ট্রায়াল। গত শনিবার প্রথম দিনে সকাল-বিকাল দুই বেলা তাদের পরখ করেছে বাফুফে নির্ধারিত একটি কোচিং প্যালেন। দেশের শীর্ষ ক্লাবগুলোর কয়েকজন কোচ ট্রায়াল নিয়েছেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর সাইফুল বারী টিটু। জাতীয় দলের প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাও পর্যবেক্ষণ করেছেন ট্রায়ালের প্রথম দিন। উন্নত দেশগুলোয় বসবাস করা এই তরুণরা যাতে নিরবিচ্ছিন্নভাগে তাদের প্রতিভা উপস্থাপন করতে পারেন, তাদের মসংযোগে কোনো রকম ব্যাঘাত না ঘটে তাই বাফুফে ট্রায়ালের সেশন রেখেছিল ক্লোজড-ডোর। চার সেশন ট্রায়ালের পর সবাইকে ভাগ করে ম্যাচ খেলাবে বাফুফে। চূড়ান্ত বাছাই হবে ম্যাচ দেখেই। এই ট্রায়াল থেকে বাফুফে কাউকে পাবে কি পাবে না সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যাবে না। বাফুফের টেকনিক্যাল বিভাগ সবার ডাটা নিয়ে রাখবে, কোচিং প্যানেলের মন্তব্য নিয়ে রাখবে। তারপর প্রয়োজন হলে ডাকবে- আপাতত এই কৌশলেই হাঁটছে বাফুফে। সবকিছুর মধ্যে একটা লুকোচুরিও আছে। যেসব কোচ এই ট্রায়াল পরিচালনায় অংশ নিচ্ছেন তারা দুই সেশন দেখে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন পরিবেশে খেলা এই ফুটবলারদের অনেকেরই যে এখনো জড়তা কাটেনি, সেটা পরিষ্কার কোচদের কাছে। তবে নিজের নাম প্রকাশ না করে একাধিক কোচ বলেছেন, ‘কিছু প্রতিভাবান ফুটবলার দেখা গেছে।’ তবে সংখ্যার তুলনায় চোখে পড়ার মতো খুব কম ফুটবলারই খুঁজে পেয়েছেন বাফুফের কোচিং প্যানেলের সদস্যরা। ডেনমার্ক প্রবাসী সাকিব মাহমুদ এই খেলোয়াড়দের ঢাকায় ট্রায়ালের বিষয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তার মাধ্যমে এসেছেন ৪৬ জন ফুটবলার। বাকি ৬ জনের কেউ বাফুফের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে কিংবা অন্য মাধ্যমে এসেছেন। অনেকে তাদের অভিভাবক নিয়েও ঢাকা এসেছেন। অভিভাবকরাও ছেলের ট্রায়াল দেখতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে। গত মার্চে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা দেওয়ান চৌধুরী ঢাকায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন দেশে বসবাস করা ফুটবলাররা বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়ার আগ্রহ দেখাতে থাকেন। বিচ্ছিন্নভাবে আগ্রহ দেখানোদের একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাফুফে প্রথমবারের মতো এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে। কোচিং প্যানেলের সদস্য ছাইদ হাছান কানন বলেছেন, ‘প্রথম দিন তো, তাই এখন বোঝা যায়নি। তাছাড়া গরম ছিল। ক্লান্তি ছিল। ওদের ফুটবল সেন্স ভালো। তবে ফিটনেসে একটু ঘাটতি ছিল বলে আমার মনে হয়েছে। ফিজিক্যাল কন্ডিশন আমার কাছে তেমন ভালো মনে হয়নি অনেকের। আমার মনে হয়, কিছু সময় লাগবে।’