জানা নিউজ

কিউইদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরছে পাকিস্তান

নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে পরাজয়ের পর ওয়ানডে সিরিজেও মুখ রক্ষা করতে পারল না পাকিস্তান। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিক কিউইদের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। সিরিজের শেষ ম্যাচে, মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে তারা হেরেছে ৪৩ রানে।

বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি নেমে আসে ৪২ ওভারে। টস জিতে পাকিস্তান ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওপেনার রাইস মারিউ ও অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েলের ব্যাটে ভর করে স্কোরবোর্ডে ওঠে ৮ উইকেটে ২৬৪ রান।

মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা মারিউ খেলেন ৬১ বলে ৫৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস, যাতে ছিল ৬টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা। অন্যদিকে অধিনায়ক ব্রেসওয়েল ঝড়ো মেজাজে ৪০ বলে করেন ৫৯ রান, ৬টি ছক্কা ও ১টি চারে। ম্যাচসেরা হন তিনিই। মিডল অর্ডারে হেনরি নিকোলস (৩১), ড্যারিল মিচেল (৪৩) ও টিম সেইফার্ট (২৬) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

পাকিস্তানের হয়ে বোলিংয়ে আলো ছড়ান আকিফ জাভেদ, ৬২ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। নাসিম শাহ ৫৪ রানে তুলে নেন ২টি উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ওপেনার ইমাম-উল-হক মাত্র ১ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন, কিউই ফিল্ডারের ছোড়া বল সরাসরি এসে লাগে তার চোয়ালে। এরপর আব্দুল্লাহ শফিক ধীরগতির এক ইনিংসে ৫৬ বলে করেন মাত্র ৩৩ রান।

একপর্যায়ে ২ উইকেটে ১০৮ রান সংগ্রহ করেছিল পাকিস্তান। বাবর আজম তার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে করেন ৫৮ বলে ৫০ রান। রিজওয়ান চেষ্টা করেছিলেন গতি বাড়ানোর, কিন্তু তার ইনিংস থামে ৩২ বলে ৩৭ রানে।

তবে এরপরই ধসে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ ৬ উইকেট হারায় মাত্র ৫২ রানে। ৪ উইকেটে ১৬৯ থেকে ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ইনিংসের শেষ ব্যাটার হিসেবে ৩৩ রান করে আউট হন তৈয়ব তাহির।

নিউজিল্যান্ডের পেসার বেন সিয়ার্স ছিলেন দুর্বার। ৮ ওভারে মাত্র ৩৪ রান দিয়ে তুলে নেন ৫ উইকেট, যার ৪টিই শর্ট পিচ ডেলিভারিতে। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সিরিজ সেরা নির্বাচিত হন তিনি। পাশাপাশি সহকারী পেসার জ্যাকব ডাফি নেন ২ উইকেট।