একবছরে নতুন করে আরো অন্তত এক লাখ আঠারো হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। এখনও প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০ জন রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে বলে জানিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
নতুন আসা রোহিঙ্গারা জানান নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে গোপনে তারা নৌকায় পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ঘুরে শাহপরীর দ্বীপ সহ বিভিন্ন জায়গা দিয়ে লুকিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছেন রোহিঙ্গারা ।
বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতেই আর কোনও রোহিঙ্গা আশ্রয় না দেয়ার নীতিগত অবস্থান ঘোষণা করেছিল কিন্তু রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ থামানো যায়নি। এছাড়া গত আট বছর ধরে থাকার পরেও প্রত্যাবাসনের কোনও অগ্রগতি নেই। সবমিলিয়ে নতুন অনুপ্রবেশ এবং সার্বিক রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়রা বাংলাদেশিদের।
বাস্তবতা হলো প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বর্তমান পরিস্থিতিতে অসম্ভব বলেই অনেকে মনে করছেন। অন্যদিকে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বেড়েছে বলেও স্থানীয় বাংলাদেশি নাগরিকদের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।
কক্সবাজারের নতুন অনুপ্রবেশ এবং সার্বিক রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা এবং উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়রা বাংলাদেশিদের।
কক্সবাজার উখিয়ায় স্থানীয় নাগরিকদের অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি নামের একটি সংগঠনের সভাপতি রবিউল হোসাইন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে মাদকসহ নানা অপরাধ বাড়ছে। এছাড়া অনেকেই ক্যাম্পের বাইরে বাসা ভাড়া করে বসবাস করছে। ক্যাম্পের বাইরে থাকা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজারের কাছাকাছি বলেও ধারণা করছে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি।
“যখন প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা আসছে তখনই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বেড়েই যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে মায়ানমারে কোনও রোহিঙ্গা অবশিষ্ট থাকবে না যদি আমাদের সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা বলয় নিশ্চিত করা না যায়। প্রতি মাসে ৫-৬ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে।” (সূত্র বিবিসি বাংলা)