পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেড় ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নিজের ঘরে নিজেই আগুন লাগানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের ৫ নং চামেশ্বরী ওয়ার্ডের জনৈক বিনোদ চন্দ্র বর্মনের সাথে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সহ অনেকের সাথে জমিজমা ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ রয়েছে এবং আদালতে প্রতিবেশী কর্তৃক তার বিরুদ্ধে মামলাও চলমান আছে। গত শনিবার সকালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারনে বিনোদ চন্দ্রের প্রতিপক্ষ ওই ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য খগেশ্বর চন্দ্র বর্মন রাস্তার ওপরে একটি বাশেঁর মাচায় বসে ছিলেন। এসময় বিনোদ চন্দ্রের দুই পুত্রবধু দিপা রানী ও রেখা রানী আকষ্মিক ভাবে খগেশ্বর বর্মনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। উক্ত লাঞ্চিত করার ঘটনাটি অন্যভাবে প্রবাহিত করতেই গত রোববার রাতে নিজের ঘড়িঘরে আগুন লাগান বিনোদ চন্দ্রের পুত্র-বৌমাদ্বয়, এমন অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য সহ গ্রামের অনেকেই। বিনোদ চন্দ্রের নিকটতম প্রতিবেশী দুলাল চন্দ্র বর্মন অভিযোগ করে বলেন, আমার ঘরের পেছনে তাদের বাড়ি এবং যে ঘরটিতে আগুন দিয়েছে সেটি আমার ঘরের খুব কাছে। ইতিপূর্বে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারনে একই গ্রামের মৃত: সত্যরাম বর্মনকে হেনস্থা করতে গতরাতের ন্যায় নিজের ঘরেই আগুন লাগিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। এ প্রসঙ্গে বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইউপি সদস্য খগেশ্বর বাবু নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ। নিজের জ্ঞাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকতেই পারে। তাইবলে প্রতিপক্ষকে হেনস্থা করতে অন্যের প্ররোচনায় বিনোদ বাবুর এরকম জঘন্য কাজ করা ঠিক হয়নি। কেননা খগেশ্বরের দ্বারা কখনো কারো বাড়িতে আগুন দেয়ার মতো মহা জঘন্য কাজ সম্পাদন করা সম্ভব নয়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিনোদ চন্দ্রের ছেলে প্রদীপ জানায়, সামগ্রিক ঘটনাবলী খগেশ্বর মেম্বারের নেতৃত্বে ঘটেছে। আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম সরকার জুয়েল জানান, উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবো এবং প্রয়োজনীয় আইনাগত ব্যবস্থা নিব।