পাঁচ ব্যাংকের একীভূতকরণ কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে, চাকরি থাকবে সবার: গভর্নর
১. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ২. গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৩. ইউনিয়ন ব্যাংক ৪. সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ৫. এক্সিম ব্যাংক
বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, এ মার্জার প্রক্রিয়ার ফলে কোনো কর্মী চাকরি হারাবেন না। রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
গভর্নর বলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে এই মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা দীর্ঘদিন ধরেই বিবেচনায় রয়েছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতের সরকারও এ উদ্যোগকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করা হবে।”
একীভূত হতে যাওয়া ব্যাংকগুলো
১. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
২. গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
৩. ইউনিয়ন ব্যাংক
৪. সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
৫. এক্সিম ব্যাংক
গভর্নর বলেন, “ব্যাংকের কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু শাখা পুনর্বিন্যাস করা হতে পারে। শহরাঞ্চলে অধিকসংখ্যক শাখা থাকা ব্যাংকগুলোর কিছু শাখা গ্রামীণ অঞ্চলে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে অর্থপাচার সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, “সম্পদ উদ্ধারের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ধাপে ধাপে এগোনোর প্রক্রিয়া। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয়। এজন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি নথিপত্র তৈরি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক আমাদের দাবি কতটা যথাযথ। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।”
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (Alternative Dispute Resolution বা ADR) সম্পর্কে গভর্নর বলেন, “আদালতের বাইরেও সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার পথ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজবেন। সরকার যে পথ নির্ধারণ করবে— তা আদালত হোক কিংবা ADR — বাংলাদেশ ব্যাংক সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।”
ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, দেশীয় সম্পদের জন্য দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।