পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার দফা দাবিতে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটি কর্মসূচি শুরু করেছেন। এতে পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ সেবায় বিঘ্ন দেখা দিয়েছে এবং ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মীরা কাজে না ফিরলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ একটি অত্যাবশ্যক পরিষেবা। এই সেবা প্রদানে বাধাদান বা বিঘ্ন ঘটানো অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একইসঙ্গে দাবি আদায়ের বিষয়ে সরকারের সংবেদনশীলতার কথাও উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কার, চাকরিতে বৈষম্য দূরীকরণ ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধ। তারা দাবি করেন, আন্দোলন চললেও জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু থাকবে এবং উপকেন্দ্রগুলোতে দু’জন করে কর্মী দায়িত্বে থাকবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে তারা আরইবির শোষণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। সর্বশেষ মে ও জুন মাসে শহীদ মিনারে টানা ১৬ দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হলেও তাদের দাবি পূরণ হয়নি। সরকার গত ২৩ অক্টোবর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করলেও, সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি। জুনে আরও দুটি কমিটি গঠন করা হলেও তারও কার্যক্রম শুরু হয়নি।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, তাদের আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে, যা সঠিক নয়। তারা কারও প্ররোচনায় আন্দোলন করছেন না।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করা হয়, এবার যদি গণছুটির নামে অনুপস্থিতি অব্যাহত থাকে তবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত বছর একই ধরনের আন্দোলনে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তীতে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেয় এবং ডজনখানেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে। আন্দোলনকারী সংগঠন দাবি করে, তখন হাজারো কর্মীকে বদলি ও চাকরিচ্যুতির মতো হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, যা এখনও চলছে।